বাইডেনের ভক্ত, ইউক্রেন সমর্থক! ট্রাম্পের উপর হামলা চালানো কে এই রায়ান রুথ?

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ পিএম | আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ পিএম

 

ফের একবার হত্যার চেষ্টা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট তথা আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। সিক্রেট সার্ভিসের তৎপরতায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এফবিআই জানিয়েছে, গলফ কোর্সের পাশের ঝোপে লুকিয়ে ছিল সেই বন্দুকধারী। তার নাম রায়ান ওয়েসলি রুথ, বয়স ৫৮ বছর। কে এই রায়ান ওয়েসলি রুথ? কেন সে হামলা চালাতে গিয়েছিল ট্রাম্পের উপর?

 

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রুথ হাওয়াই প্রদেশের বাসিন্দা। উত্তর ক্যারোলিনার গ্রিন্সবরোতে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় তার প্রোফাইল খুঁজে পেয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। তারা সেই অ্যাকাউন্টগুলি বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেনের যে যুদ্ধ চলছে, তাতে রুথ ইউক্রেনকে সমর্থন করে। বেশ কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দেখা গিয়েছে, ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রচেষ্টার জন্য সেনা নিয়োগে সহায়তা করার চেষ্টা করছেন তিনি। এক পোস্টে সে লিখেছে, “আমি ক্রাকোতে উড়ে যেতে চাই। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে লড়াই করতে ও মরতে আমি ইউক্রেন সীমান্তে যেতে ইচ্ছুক।”

 

নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর, ২০২৩ সালে তারা রুথের সাক্ষাৎকার নিয়েছিল। রুথ তাদের জানিয়েছিল, সংঘাত শুরু হওয়ার পরপরই সে ইউক্রেনে গিয়েছিল। তার কোনও সামরিক অভিজ্ঞতা না থাকলেও, সে ইউক্রেন বাহিনীতে আফগান সৈন্যদের নিয়োগ করতে সহায়তা করেছিল। রুথ আরও বলেছিল, ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন জোগাড় করতে, রাজনীতিবিদদের সঙ্গে দেখা করার জন্য সে ওয়াশিংটনেও গিয়েছিল। নিউ ইয়র্ক টাইমস আরও জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় রুথ ঘন-ঘন মানবাধিকার, স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের কথা বলেছে। এক পোস্টে রুথ লিখেছে, “বেসামরিকদের অবশ্যই এই যুদ্ধর গতি পাল্টে দিতে হবে এবং ভবিষ্যতের যুদ্ধ প্রতিরোধ করতে হবে।” তার হোয়াটসঅ্যাপ বায়োতে লেখা, “আমাদের প্রত্যেককে মানবাধিকার, স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রকে সমর্থন করার জন্য ছোট ছোট পদক্ষেপ করতে হবে।”

 

২০২০ সালে সে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্সকে সমর্থন করেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে বাইডেনকে “ঘুমন্ত জো” বলে উপহাস করেছিল। তবে, সে ঘোরতর ট্রাম্প বিরোধী। তাঁর মতে ট্রাম্প আমেরিকাকে ফের মহান নয়, বরং আমেরিকানদের ফের দাস করে তুলবেন। এমন গণতন্ত্র-কামী, স্বাধীনতাকামী মানুষটি এই প্রথম হিংসার রাস্তায় হাঁটল তা নয়। ২০০২ সালে, গ্রিনসবোরোতে একটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র-সহ সে নিজেকে একটি ভবনের ভিতরে বন্দি করেছিল। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে ট্রাম্প বিরোধিতায় কেন সে হাতে অস্ত্র তুলে নিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

রাজশাহীতে যুবদল নেতার বাড়িতে গুলিবর্ষন, বাবা নিহত

রাজশাহীতে যুবদল নেতার বাড়িতে গুলিবর্ষন, বাবা নিহত

খুবির অধীনে পাইকগাছা কৃষি কলেজ, ডিপ্লোমাধারীদের জন্য চালু হবে বিএসসি

খুবির অধীনে পাইকগাছা কৃষি কলেজ, ডিপ্লোমাধারীদের জন্য চালু হবে বিএসসি

তাবলীগ জামায়াতের উভয়পক্ষের বৈষম্য সংকট সমাধানের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

তাবলীগ জামায়াতের উভয়পক্ষের বৈষম্য সংকট সমাধানের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

টিউলিপের পদত্যাগ নিয়ে যা বললেন আসিফ নজরুল

টিউলিপের পদত্যাগ নিয়ে যা বললেন আসিফ নজরুল

ন্যায়ের উপর অবিচল থেকে শ্যামল-সুন্দর জন্মভূমির মানুষকে ভালোবাসি : আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী

ন্যায়ের উপর অবিচল থেকে শ্যামল-সুন্দর জন্মভূমির মানুষকে ভালোবাসি : আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী

বিয়াই বাড়ি থেকে ফেরার পথে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল গৃহবধুর

বিয়াই বাড়ি থেকে ফেরার পথে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল গৃহবধুর

ফেনীতে আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন

ফেনীতে আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন

ন্যায়ের উপর অবিচল থেকে শ্যামল-সুন্দর জন্মভূমির মানুষকে ভালোবাসি: আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী

ন্যায়ের উপর অবিচল থেকে শ্যামল-সুন্দর জন্মভূমির মানুষকে ভালোবাসি: আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী

গৌরনদীতে সড়ক দূর্ঘটনায় মটরসাইকেল চালকসহ নিহত - ২

গৌরনদীতে সড়ক দূর্ঘটনায় মটরসাইকেল চালকসহ নিহত - ২

বরিশাল সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক কারাগারে

বরিশাল সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক কারাগারে

পীরগঞ্জে আইএফআইসি ব্যাংকের কম্বল বিতরণ

পীরগঞ্জে আইএফআইসি ব্যাংকের কম্বল বিতরণ

‘তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘরে ঘরে যেতে হবে’

‘তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘরে ঘরে যেতে হবে’

ছাত্রীদের আবাসনের জন্য মাসে ৩ হাজার টাকা দেবে ঢাবি

ছাত্রীদের আবাসনের জন্য মাসে ৩ হাজার টাকা দেবে ঢাবি

নারী ও শিশুর অধিকার সুরক্ষায় কাজ করার আহ্বান ইউজিসি’র

নারী ও শিশুর অধিকার সুরক্ষায় কাজ করার আহ্বান ইউজিসি’র

তাবলীগ জামাতে বৈষম্য নিরসনের দাবি

তাবলীগ জামাতে বৈষম্য নিরসনের দাবি

অস্ট্রেলিয়ার শ্রীলঙ্কা সফরে যোগ হলো একটি ওয়ানডে

অস্ট্রেলিয়ার শ্রীলঙ্কা সফরে যোগ হলো একটি ওয়ানডে

কোট চাঁদপুরে জামায়াত নেতা হত্যা মামলার আসামীকে কুপিয়ে হত্যা

কোট চাঁদপুরে জামায়াত নেতা হত্যা মামলার আসামীকে কুপিয়ে হত্যা

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে গবেষণায় সহায়তার নিশ্চয়তা প্রদান করা প্রয়োজন- সিকৃবি ভিসি

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে গবেষণায় সহায়তার নিশ্চয়তা প্রদান করা প্রয়োজন- সিকৃবি ভিসি

বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য শেরপুর বিএনপির মিছিল

বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য শেরপুর বিএনপির মিছিল

সৈয়দপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিফলেট বিতরণ

সৈয়দপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিফলেট বিতরণ